শিক্ষিকা মমতাজ বেগম
এম এ কবীর, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহের মহেশপুর পৌর এলাকার পাতিবিলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা চায়না খাতুন তার সহকর্মী শিক্ষিকা মমতাজ বেগমের হিংস্র হামলার শিকার হয়েছেন। ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে এই হামলার ঘটনায় তিনি বর্তমানে মানষিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। হামলার শিকার চায়না খাতুন দোষী মমতাজের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নিবার্হী অফিসার এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর।
অভিযোগে বলা হয়েছে মমতাজ বেগম পাতিবিলা গ্রামের বাসিন্দা, তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় প্রভাব খাটিয়ে ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত পাতিবিলা বে-সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাররী নেন। পরবর্তিতে স্কুলটি সরকারী হলেও একই প্রতিষ্ঠানে চাকরী করে যাচ্ছেন। তার স্বামী মহেশপুর পৌরসভার একজন কর্মচারী হলেও তার দাপট রয়েছে এই স্কুলে। মমতাজের অত্যাচারে অতিষ্ট এই স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক কর্মচারীরা। তিনি প্রধান শিক্ষকের কোন নির্দেশও মানেন না।
গত ১২ নভেম্বর শিক্ষকদের কমনরুমের চাবী চাওয়াকে কেন্দ্র করে মমতাজ বেগম তার স্বামীর নির্দেশে চায়না খাতুনকে বে-ধড়ক মারপিট করেন। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী চায়না খাতুন জানান, ঘটনার দিন মমতাজ বেগম শিক্ষক কমনরুম বন্ধ করে চাবী নিজের কব্জায় নিয়ে ঘুরতে থাকেন, তিনি চাবী চাইলে মমতাজ চাবী দিতে অস্বীকার করেন। এ নিয়ে কথাকাটির এক পর্যায়ে তার স্বামীর নির্দেশে তাকে বে-ধড়ক পেটাতে থাকেন।
এ বিষয়ে মমতাজের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, মারপিটের কোন ঘটনা ঘটেনি। তবে কথা কাটাকাটি হয়েছে। এটা নিয়ে চায়না একটু বেশি বাড়াবাড়ি করছে।
ঘটনার বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মাসুদা পরভিন জানান, ঘটনা যেটি ঘটেছে তা দুঃখজনক তবে ঘটনার পরপরই উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার স্কুলে আসেন এবং দুজনের মধ্যে মিমাংসার চেষ্ট করেন কিন্তু কোন সমাধান হয়নি।
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আনন্দ কিশোর সাহা জানান, আমি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এবং উপজেলা প্রাথকি শিক্ষা অফিস থেকেও ঘটনার বিষয়ে একটি রিপোর্ট পেয়েছি অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply